রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

চুলের যত্ন নিন ভালো থাকুক চুল

চুলের যত্ন নিন ভালো থাকুক চুল

স্বদেশ ডেস্ক: মাথার চুলেই মানুষের সৌন্দর্য সত্য কিন্তু এ নিয়ে হতাশার কিছু নেই। অথচ সামান্য সমস্যায় হতাশায় ডুবে যায় তরুণ-তরুণীরা। মাথার চুল বেশি ঝরে গেলেই তাই ভেঙে পড়েন। হাঁটেন আরও বেশি অন্ধকারের দিকে। এ অন্ধকার থেকে বাঁচাতে পারে শুধু চুল সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞান চেতনা। একই সঙ্গে চুল সঠিভাবে পরিচর্যা করার সম্যক জ্ঞান।

চুলের যত্ন নেওয়ার নিয়ম : সাধারণভাবে সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করা দরকার। যাদের রোজই বাইরে বেরোতে হয়, বাস, ট্রেনে ঘুরে বেড়াতে হয় কিংবা যাদের কলকারখানা বা ধুলো-বালির মধ্যে কাজ করতে হয়, প্রয়োজনে তাদের সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করতে হবে। আরও বেশিবার করা যায়; প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে মেডিকেটেড শ্যাম্পু। এ ছাড়া নিয়মিত গোসল করতে হবে। রোজ চুল আঁচড়াতে হবে বেশ কয়েকবার। বেশি সরু দাড়ার চিরুনি ব্যবহার করা যাবে না। একটু মোটা দাড়ার চিরুনিই ভালো। অনেকে শুকনো চুল ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে জোরে জোরে আঁচড়ান। এতে চুলের ডগা কেটে যায়। সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় অনেকে চুল কাপড় কাচার মতো করে কচলান। মনে রাখবেন, চুল শরীরেরই অংশ। তাই সাবধানে পরিচর্যা করুন। সামান্য ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ালে চুলে আঘাত কম লাগে। আর চিরুনি হতে হবে পরিষ্কার।

চুলের রুক্ষতার কারণ : চুল রুক্ষ হলে গন্ধহীন নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এ জন্য স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। চুলে উকুন আছে কিনা, দেখতে হবে। থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে। চুলে প্রসাধন সামগ্রী কম ব্যবহার করা ভালো। প্রসাধন নির্বাচনে প্রকৃতির যত কাছে থাকা যায়, তত ভালো। প্রাকৃতিক উপাদানের প্রসাধন অনেক বেশি নিরাপদ। এ কারণে আগে মানুষের অ্যালার্জি কম হতো। অ্যালার্জি মূলত সিন্থেটিক যুগের সমস্যা। চুল যাতে রুক্ষ বা লালচে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোদ এড়িয়ে চলা ভালো। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত ক্লোরিনমিশ্রিত পানিতে গোসল ঠিক নয়। চুল রক্ষার দায়িত্ব নিজের। কাজেই চুল সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, আকর্ষণীয় করে তোলার চাবিকাঠিও নিজের হাতেই।

শুষ্ক বা তৈলাক্ত চুল : ত্বকের মতো, বংশগতির প্রভাবে চুল অনেক সময় শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয়। পরিবেশগত কারণও দায়ী। অতিরিক্ত সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হতে পারে। আবার উল্টোটাও সত্যি। অনেকে একদম সাবান বা শ্যাম্প ব্যবহার করেন না। কিন্তু জবজবে করে তেল মাখেন। এতে চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়। এতে খুশকি বেশি হতে পারে, ময়লা জমতে পারে। প্রবাদে আছে, তেলা মাথায় তেল দেওয়া উচিত নয়। এটা সত্যি। চুলের পুষ্টি আসে শরীর থেকে। তবে যাদের চুল শুষ্ক বা রুক্ষ, তারা তেল দিতে পারবেন। তেল গোসলের পরে দেওয়া ভালো। গন্ধহীন বিশুদ্ধ নারকেল তেল মাখা ভালো। মাথায় ভিজে চপচপে করে তেলমাখা উচিত নয়। নিয়ম হলো, চুল সামান্য ভেজা থাকা অবস্থায় অল্প নারকেল তেল দিয়ে মাথার ত্বকে আলতো করে মেসেজ করা। এতে মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কখনো জোরে চুলের গোড়ায় তেল ঘষা ঠিক নয়। বেশি জোরে ঘষলে চুল বেশি উঠতে পারে। চুলের গোড়ায় যাতে আাঘাত না লাগে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তাই। শ্যাম্পু দেওয়ার পর বেশি টানা-হ্যাঁচড়া করলে চুল আলগা হয়ে যায়। ধারাল ব্রাশ বা চিরুনি দিয়ে জোরে আঁচড়ালেও একই সমস্যা হতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877